• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

শিশু

গর্ভের শিশু মায়ের কণ্ঠ ও বাইরের শব্দ শুনতে পায়? এতে কি ক্ষতি হয়

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৫ মার্চ ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

গর্ভে থাকা সন্তানকে নিয়ে সহস্র স্বপ্ন থাকে হবু মা-বাবার। এর মধ্যে মায়ের স্বপ্নের শেষ থাকে না। কেউ কেউ বলে থাকেন, তিনি গর্ভের সন্তানের সঙ্গে কথা বলেন, কেউ কেউ নানা ছড়া-কবিতা কিংবা গান-গল্পও শোনান। অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারী তো আবার তার স্বামীকেও গর্ভের সন্তানের সঙ্গে কথা বলার জন্য উৎসাহিত করেন। আচ্ছা, এসব কি শুধুই মজা করার জন্য করেন―নাকি আসলেই গর্ভের সন্তান বাইরের সব শুনতে পান?

স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট হেলথলাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গর্ভধারণের চার-পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ভ্রুণের কোষগুলো কান গঠনে সুসজ্জিত হতে থাকে। তবে গবেষণা বলছে, গর্ভে থাকা শিশু গর্ভধারণের আঠারোতম সপ্তাহের আগ-পরে থেকে প্রথম শব্দ শুনতে পায়। চব্বিশতম সপ্তাহ থেকে গর্ভের শিশু আরও সংবেদনশীল হয়ে উঠে। আর পঁচিশ-ছাব্বিশ সপ্তাহ থেকে গর্ভের শিশু শব্দের প্রতি আরও প্রতিক্রিয়াশীলতা হতে থাকে।

কত তীব্রতায় শব্দ শুনতে পায় গর্ভের শিশু: জরায়ুর ভেতর পানির মধ্যে ভাসতে থাকে শিশু। এ পানি হচ্ছে অ্যামনিওটিক ফ্লুইড।  জরায়ু ঘিরে মায়ের পেশি ও অন্যান্য কোষগুচ্ছ―এসবের বাইরে মায়ের ত্বক রয়েছে। অর্থাৎ, বাতাসে ভাসমান শব্দ এই কয়েকটি স্তর পার হয়ে গর্ভের শিশুর কানে পৌঁছায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বাইরের শব্দ প্রায় অর্ধেক তীব্রতায় গর্ভে থাকা শিশুর কানে পৌঁছায়।

শিশু কোন ধরনের শব্দ শুনতে চায়: গর্ভে থাকা শিশু যেমন বাইরের শব্দ শুনতে পায়, তেমনি মায়ের শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়ার শব্দও শুনতে পায় সে। যা একদমই বুঝতে পারেন না মা। মায়ের হৃৎপিণ্ডের শব্দ, পাকস্থলী ও শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ, এমনকী মা ও শিশুর শরীরের সংযোগকারী নাড়ি দিয়ে রক্তপ্রবাহের শব্দও শিশু শুনতে পায়।

মায়ের কণ্ঠ কি চিনতে পারে গর্ভের শিশু: গর্ভে থাকা শিশু মায়ের শব্দ বা কণ্ঠ আলাদাভাবেই চিনতে শুরু করে। বিশেষ করে গর্ভের শেষ তিন মাসে মায়ের কণ্ঠ বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারে। মায়ের কণ্ঠ শুনতে পেলে শিশুর হৃৎপিণ্ডের গতিও অনেক বেড়ে যায়। আর এ থেকে ধারণা করা হয়―গর্ভের শিশু মায়ের কণ্ঠ শোনার পর সজাগ হয়ে উঠে।

বাইরের শব্দের জন্য গর্ভের শিশুর বিকাশে কি প্রভাব পড়ে: অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি হঠাৎ অল্প কিছুক্ষণের জন্য উচ্চমাত্রার শব্দে অবস্থান করেন, এতে শিশুর শ্রবণশক্তির কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি দীর্ঘদিন উচ্চমাত্রার শব্দে থাকেন, তাহলে গর্ভের শিশুর শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অবশ্যই সচেতন হওয়া জরুরি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads